মঙ্গলকাব্য
মঙ্গল কাব্য রচনার সূত্রপাত পঞ্চদশ শতক। মঙ্গল শব্দের আবিধানিক অর্থ কল্যাণ। যে কাব্য পাঠ করলে কল্যাণ হয় এবং সকল প্রকার অকল্যাণ দূর হয় সেই কাব্যই মঙ্গলকাব্য।
মঙ্গলকাব্যের প্রধান ধারা তিনটি।
মনসামঙ্গল
চণ্ডীমঙ্গল
অন্নদামঙ্গল
সাধারন্ত মঙ্গলকাব্যে ৫টি খন্ড থাকে। ১) বন্দনা ২) আত্মপরিচয় ৩) দেবকুন্ডু ৪) নরখন্ড/পৃথিবীখন্ড ৫) শ্রুতিফল/ ফলশ্রুতি
★ মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কানাহরি দত্ত। শ্রেষ্ঠ কবি বিজয় গুপ্ত। চরিত্রঃ চাঁদ সওদাগর, নেতাই ধোপানি, সনকা, লক্ষিন্দর, মনসা।
★ চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি মানিক দত্ত। শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। চরিত্রঃ কালকেতু, ফুল্লরা, ভানুদত্ত, মুরারিশীল।
★ ধর্মমঙ্গল কাব্য আদি কবি ময়ূরভট্ট। শ্রেষ্ঠ কবি ঘনারাম চক্রবর্তী। রাজা হরিশচন্দ্র ও লাওসেন।
★ অন্নদামঙ্গল কাব্য শ্রেষ্ঠ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। চরিত্রঃ ঈশ্বরী পাটনী ও ভবানন্দ।
মনসামঙ্গলঃ
মনসার সাপের দেবী। শিবের কন্যা।
তথ্যঃ কমপক্ষে 22 জন কবি মনসামঙ্গল কাব্য রচনা করেছেন।
বেহুলা - মধ্যযুগের সবচেয়ে পতিপ্রাণা চরিত্র
চাঁদ সওদাগর - মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতিবাদী চরিত্র
নেতাই ধোপানি - স্বর্গের ধোপা।
স্বর্গে রাজধানী - অমরাবতী
রাজা - ইন্দ্র
চন্ডীমঙ্গলঃ
দেবী চণ্ডী শিবের স্ত্রী। কালকেতুর স্বর্গীয় নাম নীলাম্বর। ফুল্লোরা স্বর্গীয় নাম ছায়া। নীলাম্বর হলো স্বর্গের রাজা ইন্দ্রর পুত্র।
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ছিলেন জমিদার রঘুনাথ রায়ের সভাকবি রঘুনাথ রায় কবি কবিকঙ্কন উপাধি দিয়েছিলেন।
ব্যাধ অর্থ শিকারি
ফুল্লোর - মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতিবাদী নারী চরিত্র।
মুরারি শীল - মধ্যযুগের সবচেয়ে ঠক, প্রতারকবা ধ্রুত চরিত্র।
ভানু দত্ত - মধ্যযুগের সবচেয়ে ভিলেন চরিত্র।
অন্নদামঙ্গল কাব্যঃ
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের শেষ স্বীকৃত কবি। তার উপাধি গুণাকর। উপাধি প্রদান করেন কৃষ্ণচন্দ্র। তার পারিবারিক পদবি রায়। তার মৃত্যু 1760 সালে এবং জন্ম 1712 সালে।
*" আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে" উক্তিটি দেবী অন্নদাকে ঈশ্বরী পাটনী করেছিল।
No comments