Header Ads

Header ADS

এক্স-রে, তেজস্ক্রিয়তা, আলফা, বিটা ও গামা রশ্মি







এক্স-রেঃ

√ বিগ ব্যাঙ তত্ত্বের প্রবক্তা জি. ল্যামেটাস।
মহাজাগতিক রশ্মির আবিষ্কারক হেস।
এক্স-রে হল তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য 10-8m থেকে 10-11 m। এটি গ্যাসের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় গ্যাসকে আয়নিত করে। এটি উচ্চ ভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন। বিজ্ঞানী উইলিয়াম রন্টজেন ১৮৯৫ সালে এটি আবিষ্কার করেন।

√ দ্রুতগতিসম্পন্ন ইলেকট্রন কোন ধাতুতে আঘাত করলে এক প্রকার উচ্চ ভেদনক্ষমতাসম্পন্ন রশ্মি বিকিরণ হয়। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব কম। বিকিরিত এ রশ্মিকে এক্স-রে বা রঞ্জন রশ্মি বলে।
√ চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ের দাগ বা ফাটল এবং ভেঙ্গে যাওয়া হাড় সনাক্ত করতে, আলসার ও ক্যান্সার চিকিৎসায়, শিল্পক্ষেত্রে ধাতব ঝালাইয়ে দোষ-ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ডিং এবং ধাতব পাতের গর্ত নির্ণয়ে এটি ব্যবহার করা হয়। 
√ আসল হীরা চেনার উপায় এর ভেতর দিয়ে রঞ্জনরশ্মি যেতে পারে না। মণিকারগণ এর সাহায্যে আসল ও নকল গহনা সনাক্ত করে থাকেন। রঞ্জনরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম তবে গামা রশ্মির চেয়ে অধিক।আসল হীরা চেনার উপায় এর ভেতর দিয়ে রঞ্জনরশ্মি যেতে পারে না। মণিকারগণ এর সাহায্যে আসল ও নকল গহনা সনাক্ত করে থাকেন। রঞ্জনরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম তবে গামা রশ্মির চেয়ে অধিক।

তেজস্ক্রিয়তাঃ
√ কোন রকম প্রভাব ছাড়া স্বতঃস্ফূর্ত অবস্থায় তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে আলফা, বিটা ও গামা রশ্মি নির্গত হয়। এ ধরনের পদার্থ হলোঃ ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম, পলোনিয়াম, নেপচুনিয়ান, প্লুটোনিয়াম ইত্যাদি।
√ হেনবি বেকরেল তেজস্ক্রিয়তা আবিস্কারের জন্য বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
√ ১৮৯৮ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী মাদার কুরী ও পিয়েরে কুরী আবিস্কার করেন থোরিয়াম।
√ লৌহ তেজস্কিয় পদার্থ নয়। রেডিয়াম মৌলটি রেডিয়েশন দেয় বা তেজস্কিয়তা প্রদর্শন করে।
√ রেডিও আইসোটোপ হচ্ছে এমন একটা আইসোটোপ যা তেজস্ক্রিয় বিকিরণ প্রদর্শন করে। রেডিও আইসোটোপ ব্যবহৃত হয় গলগ রোগ নির্ণয়।

আলফা, বিটা ও গামা রশ্মিঃ
√ আলফাঃ এটি একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস বা দ্বি-আয়নিত হিলিয়াম পরমাণু। আলফা রশ্মি ধনাত্মক আধানযুক্ত। এই রশ্মি চৌম্বক ও তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা বিচ্যুত হয়।
√ বিটাঃ এই রশ্মি অতি উচ্চ দ্রুতি সম্পন্ন ইলেকট্রনের প্রবাহ। বিটা রশ্মি চৌম্বক ও তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয়।
√ গামাঃ গামা রশ্মি অত্যন্ত ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। এটি জীবজগতের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তবে টিউমার, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় এ রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
√ টিউমার, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস হলো আইসোটোপ।
√ জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি গামা রশ্মি। গামা রশ্মির চার্জ ও ভর নেই।

1 comment:

Powered by Blogger.