ইতিহাসের মধ্য যুগ
মুসলিম শাসনঃ
* এই সময়কে চারটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রেমে আলোচনা করা হলোঃ
প্রথম পর্বঃ
১২০৪ থেকে ১৩৫২ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে বাংলা কখনো স্বাধীন বা কখনো দিল্লির অধীন।
* বখতীয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ঃ
১২০৪ সালে তুর্কি জাতির এবং গজনির সুলতান ঘুরীর সেনাপতি বখতীয়ার খলজী মাত্র ১৭ জন অর্শ্বারহী নিয়ে অতর্কিতে নদিয়া আক্রমণ করেন। সেন বংশের শেষ শাষক লক্ষণ সেন পালিয়ে বিক্রমপুরে চলে আসেন। লক্ষণ সেন বিক্রম পুরে ছোট আকারে সেন রাজ্য গড়ে তোলেন। ওদিকে বখতীয়ার রাজধানী নদীয়া থেকে উত্তরে '"গৌড়ে" নিয়ে যান। ১২০৬ সালে তিনি তিব্বত অভিযানে যাওয়ার পথে দিনাজপুরের "দেবকোট" মারা যায়। সঙ্গে সঙ্গে দিল্লীর সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক বাংলা দখল করে নেন।
ফকরুদ্দিন মোবারক শাহ ছিলেন সোনারগাঁইয়ের সুলতান বহরম খানের তরবারী বাহক। তিনি ১৩৩৮ সালে বহরম খানকে হত্যা করে সোনারগাঁ দখল করে নিজেকে স্বাধীন সোনারগাঁর সুলতান ঘোষণা করেন। এজন্যই তাকে সোনারগাঁর প্রথম সুলতান বলা হয়।
* ইবনে বতুতাঃ
মরক্কোর পর্যটক ১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লি আসেন দিল্লির সুলতান। মোহাম্মদ বীন তুঘলক তাকে "মুখ্যকাজী" পদে চাকরী দেন। তিনি ১৩৪৫ সালে স্বাধীন সোনারগাঁ ভ্রমণ করেন। তার ভ্রমন কাহিনী "কিতাবুল রাহেলায়" সোনারগাঁর বর্ণনা রয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বঃ
স্বাধীন সুলতানী শাসন এই সময় চারটি বংশ বাংলা শাসন করে।
*ইলিয়াস শাহী বংশঃ
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এই বংশের শাসনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৩৩৯ সালে লক্ষণাবর্তীর (গৌড়) সুলতান নিযুক্ত হন। তিনি প্রথমে সোনারগাঁও এবং ১৩৫২ সালে ফকরুদ্দীনকে পরাজিত করে সোনারগাঁও দখল করেন। অতপর লক্ষণাবর্তী, সাতগাও, সোনারগাঁও নিয়ে ১৩৫২ সালে নামকরণ করেন বাঙলা। এই অর্থে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাঙ্গলায় প্রথম স্বাধীন সুলতান। তিনি শাহ-ই-বাঙালী উপাধি ধারণ করেন।
*সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহঃ
রাজা গনেশের পুত্র যদু মুসলমান হয়ে "জালাল উদ্দিন মোহম্মদ শাহ" নাম ধারণ করে বাংলা স্বাধীন শাহী বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
*হাফসি বংশঃ ১৪৮৭-১৪৯৩
হাফোসিরা ছিলেন সোমালিয়া থেকে আগত বাংলার সুলতানের কৃতদাস। ৬ বছরে ৪ জন হাফসি শাসক বাংলা শাসন করেন।
* হোসেন শাহী বংশঃ ১৪৯৩-১৫৩৮
এই সময় ছিলো আফগান শাসন এবং বারোভুয়াদের শাসন।
*শুর বংশঃ ১৫৩৮-১৫৬৪
*কররানী বংশঃ ১৫৬৪-১৫৭৬
* বারোভুইয়াঃ
মুঘল শাসনে বাংলা
* এই সময়কে চারটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রেমে আলোচনা করা হলোঃ
প্রথম পর্বঃ
১২০৪ থেকে ১৩৫২ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে বাংলা কখনো স্বাধীন বা কখনো দিল্লির অধীন।
* বখতীয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ঃ
১২০৪ সালে তুর্কি জাতির এবং গজনির সুলতান ঘুরীর সেনাপতি বখতীয়ার খলজী মাত্র ১৭ জন অর্শ্বারহী নিয়ে অতর্কিতে নদিয়া আক্রমণ করেন। সেন বংশের শেষ শাষক লক্ষণ সেন পালিয়ে বিক্রমপুরে চলে আসেন। লক্ষণ সেন বিক্রম পুরে ছোট আকারে সেন রাজ্য গড়ে তোলেন। ওদিকে বখতীয়ার রাজধানী নদীয়া থেকে উত্তরে '"গৌড়ে" নিয়ে যান। ১২০৬ সালে তিনি তিব্বত অভিযানে যাওয়ার পথে দিনাজপুরের "দেবকোট" মারা যায়। সঙ্গে সঙ্গে দিল্লীর সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক বাংলা দখল করে নেন।
- কুতুবউদ্দিন আইবেক, ইলতুতমিস, বখতিয়ার এরা ছিলেন তুর্কি জাতির এবং মোহাম্মদ ঘুরীর কৃতদাষ। এখান থেকেই তারা ঘুরীর এক এক জন সেনাবাহিনীর সেনাপতি হন।
- ১২০৬ থেকে ১২৯০ পর্যন্ত ৮৪ বছর তুর্কি জাতির এবং ঘুরীর কৃতদাস এবং তাদের বংশের লোকজন শাসন করে বলে এই সময়কে বলা হয় দাস বংশের শাসন।
ফকরুদ্দিন মোবারক শাহ ছিলেন সোনারগাঁইয়ের সুলতান বহরম খানের তরবারী বাহক। তিনি ১৩৩৮ সালে বহরম খানকে হত্যা করে সোনারগাঁ দখল করে নিজেকে স্বাধীন সোনারগাঁর সুলতান ঘোষণা করেন। এজন্যই তাকে সোনারগাঁর প্রথম সুলতান বলা হয়।
* ইবনে বতুতাঃ
মরক্কোর পর্যটক ১৩৩৩ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লি আসেন দিল্লির সুলতান। মোহাম্মদ বীন তুঘলক তাকে "মুখ্যকাজী" পদে চাকরী দেন। তিনি ১৩৪৫ সালে স্বাধীন সোনারগাঁ ভ্রমণ করেন। তার ভ্রমন কাহিনী "কিতাবুল রাহেলায়" সোনারগাঁর বর্ণনা রয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বঃ
স্বাধীন সুলতানী শাসন এই সময় চারটি বংশ বাংলা শাসন করে।
*ইলিয়াস শাহী বংশঃ
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এই বংশের শাসনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৩৩৯ সালে লক্ষণাবর্তীর (গৌড়) সুলতান নিযুক্ত হন। তিনি প্রথমে সোনারগাঁও এবং ১৩৫২ সালে ফকরুদ্দীনকে পরাজিত করে সোনারগাঁও দখল করেন। অতপর লক্ষণাবর্তী, সাতগাও, সোনারগাঁও নিয়ে ১৩৫২ সালে নামকরণ করেন বাঙলা। এই অর্থে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাঙ্গলায় প্রথম স্বাধীন সুলতান। তিনি শাহ-ই-বাঙালী উপাধি ধারণ করেন।
*সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহঃ
- তিনি ছিলেন ইলিয়াস শাহী বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক।
- তিনি বাংলার প্রথম সুলতান যিনি চীন দেশে দূত/প্রতিনিধি পেরন করেন।
- তিনি একজন কবি ছিলেন। তিনি আরবী ও ফারসি ভাষায় কবিতা লিখেতেন।
- তার সাথে পারস্যের কবি হাফিজসের সম্পর্ক ছিল। তিনি তার সাথে পত্রালাপ করতেন।
- প্রথম বাঙালী মুসলমান কবি শাহ- মুহম্মদ সগীর। তিনি ছিলেন সুলতানের সভাকবি। সুলতানের অনুরোধেই তিনি "ইউসুফ-জুলেখা" কাব্য রচনা করে। রোমান্টিক কবির মর্যাদা লাভ করেন।
- ১৪১০ সালে সুলতান সোনারগাঁয়ে মারা গেলে মোরপাড়া গ্রামে সমাহিত করা হয়।
রাজা গনেশের পুত্র যদু মুসলমান হয়ে "জালাল উদ্দিন মোহম্মদ শাহ" নাম ধারণ করে বাংলা স্বাধীন শাহী বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
*হাফসি বংশঃ ১৪৮৭-১৪৯৩
হাফোসিরা ছিলেন সোমালিয়া থেকে আগত বাংলার সুলতানের কৃতদাস। ৬ বছরে ৪ জন হাফসি শাসক বাংলা শাসন করেন।
* হোসেন শাহী বংশঃ ১৪৯৩-১৫৩৮
- এই বংশের শাসনকালে প্রথম "স্বর্ণযুগ" নামে পরিচিত।
- আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এই বংশের শাসনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে "ছোট সোনা মসজিদ" প্রতিষ্ঠা করেন।
- তার পুত্র নসউদ্দিন নসরত শাহ গৌড় শহরে "বড় সোনা মসজিদ" প্রতিষ্ঠা করেন।
- তার পুত্র গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ শাহ ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান।
এই সময় ছিলো আফগান শাসন এবং বারোভুয়াদের শাসন।
*শুর বংশঃ ১৫৩৮-১৫৬৪
*কররানী বংশঃ ১৫৬৪-১৫৭৬
* বারোভুইয়াঃ
- বাংলার স্বাধীন চেতা জমিদারদের সংগঠন। এর প্রধান নেতা ছিলেন সোনারগাঁর জমিদার ঈসা খান।
- এই সময় মঘল সম্রাট ছিলেন আকবর। তিনি বাহিনি পাঠান। প্রথম যুদ্ধো হয় যশোরের রাজা ও বারোভূইয়ার অন্যতম নেতা প্রতাবাদিত্যের সাথে। তিন দিন যুদ্ধ করে প্রতাবাদিত্য মঘল বর্শতা শিকার করে নেন।
- ঈসা খান মান সিংহ যুদ্ধো ১৫৯৭ সালে কিশোরগঞ্জের এগারোসিন্ধু নামাক স্থানে এই যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ঈসা খান পরাজিত হলেও সম্রাট আকবরের সাথে চুক্তি করে তার জমিদারি অব্যাহত রাখার সুজোগ পান।
- ১৫৯৯ সালে ঈসাখান মারা গেলে তার পুত্র মুসা খান সোনারগাঁয়ের জমিদার হন। তিনি তার পিতার সাথে আকবরের চুক্তি প্রত্যাখান করেন।
- মুসা খান ইসলাম খান যুদ্ধ সেপ্টেম্বর ১৬০৯ সালে। এই যুদ্ধে মুসা খান পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেলে পতন হয় সোনারগাঁর বারোভুইয়ার এবং বাংলার। বাংলা চলে যায় মুঘল দখলে। ১৬১০ সালে শুরে বাংলার রাজধানী ঢাকা এনে নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গির নগর।
মুঘল শাসনে বাংলা
No comments