রেখা ও কোণ
বিন্দুঃ যার দৈঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা কিছুই নেই শুধু মাত্র অবস্থান আছে তাকে বিন্দু বলে।
রেখাঃ বিন্দুর চলার পথকেই রেখা বলে।
চিত্রে AB একটি রেখা।
রেখার বৈশিষ্ট্যঃ ১) রেখার কোন প্রান্ত বিন্দু নেই।
২) রেখা উভয় দিকে সীমাহীন।
রেখাংশঃ রেখার নির্দিষ্ট পরিমান অংশকে রেখাংশ বলে।
চিত্রে C D একটি রেখাংশ।
রেখাংশের বৈশিষ্ট্যঃ ১) রেখাংশের প্রান্ত বিন্দু দুইটি।
২) রেখাংশ উভয়দিকে সসীম।
৩) রেখাংশের দৈর্ঘ্য আছে।
৪) রেখাংশ এক মাত্রিক।
৫) রেখংশের প্রস্থ বা বেদ নেই।
রাশিঃ যদি কোন রেখাংশের একপ্রন্ত স্থির রেখে অপর প্রান্ত যতদুর খুশি বর্ধিত করা যায় তাকে রাশি বলে।
চিত্রে A B একটি রাশি।
রাশির বৈশিষ্ট্যঃ- ১। রাশির প্রান্ত বিন্দু একটি।
২। ইহার একপ্রান্ত সসীম অপর প্রান্ত অসীম।
কোনঃ দুইটি রেখাংশ কোন এক বিন্দুতে মিলিত হলে কোন উৎপন্ন হয়।
চিত্রে ABC একটি কোন।
* কোন পরিমাপ করার পদ্ধতি তিনটি---
I. ষাট মূলক পদ্ধতি।
II. বৃত্তীয় পদ্ধতি
III. শত মুলক পদ্ধতি।
ষাট মূলক পদ্ধতিঃ ষাট মূলক পদ্ধতিতে সমকোনকে কোণ পরিমাপের একক ধরা হয়।
১ সমকোণ= ৯০ ডিগ্রি
১ ডিগ্রি = ৬০ মিনিট
১ মিনিট = ৬০ সেকেন্ড
বৃত্তীয় পদ্ধতিঃ বৃত্তীয় পদ্ধতিতে রেডিয়ান কোনকের কোন পরিমাপের একক ধরা হয়।
শতমুলক পদ্ধতিঃ শতমুলক পদ্ধতিতে রেডিয়ান কোনকে কোন পরিমাপের একক ধরা হয়।
** কোণ দুই প্রকারঃ-
১। জ্যামিতিক কোন
২। ত্রিকোনমিতিক কোন
জ্যামিতিক কোনঃ
সূক্ষ কোণঃ ০ ডিগ্রি থেকে বড় এবং ৯০ ডিগ্রি থেকে ছোট কোনকে সূক্ষ কোণ বলে।
চিত্রে ABC একটি সূক্ষকোণী ত্রিভুজ।
সমকোণঃ ৯০ ডিগ্রি পরিমান কোনকে সমকোণ বলে। অথবা, একটি রেখাংশের উপর অপর একটি রেখাংশ লম্ব ভাবে পতিত হলে তাকে সমকোণ বলে।
স্থুলকোণঃ ৯০ ডিগ্রি অপেক্ষা বড় এবং ১৮০ ডিগ্রি অপেক্ষা ছোট কোনকে স্থুলকোণ বলে।
সরলকোনঃ ১৮০ ডিগ্রি পরিমান কোনকে সরলকোন বলে।
প্রবৃদ্ধ কোনঃ ১৮০ ডিগ্রি থেকে বড় এবং ৩৬০ ডিগ্রি থেকে ছোট কোনকে প্রবৃদ্ধ কোন বলে।
ধনাত্বক কোনঃ ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে যে কোন উৎপন্ন হয় তাকে ধনাত্বক কোন বলে।
ঋনাত্বক কোনঃ ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে যে কোন উৎপন্ন হয় তাকে ঋনাত্বক কোন বলে।
রেখাঃ বিন্দুর চলার পথকেই রেখা বলে।
চিত্রে AB একটি রেখা।
রেখার বৈশিষ্ট্যঃ ১) রেখার কোন প্রান্ত বিন্দু নেই।
২) রেখা উভয় দিকে সীমাহীন।
রেখাংশঃ রেখার নির্দিষ্ট পরিমান অংশকে রেখাংশ বলে।
চিত্রে C D একটি রেখাংশ।
রেখাংশের বৈশিষ্ট্যঃ ১) রেখাংশের প্রান্ত বিন্দু দুইটি।
২) রেখাংশ উভয়দিকে সসীম।
৩) রেখাংশের দৈর্ঘ্য আছে।
৪) রেখাংশ এক মাত্রিক।
৫) রেখংশের প্রস্থ বা বেদ নেই।
রাশিঃ যদি কোন রেখাংশের একপ্রন্ত স্থির রেখে অপর প্রান্ত যতদুর খুশি বর্ধিত করা যায় তাকে রাশি বলে।
চিত্রে A B একটি রাশি।
রাশির বৈশিষ্ট্যঃ- ১। রাশির প্রান্ত বিন্দু একটি।
২। ইহার একপ্রান্ত সসীম অপর প্রান্ত অসীম।
কোনঃ দুইটি রেখাংশ কোন এক বিন্দুতে মিলিত হলে কোন উৎপন্ন হয়।
চিত্রে ABC একটি কোন।
* কোন পরিমাপ করার পদ্ধতি তিনটি---
I. ষাট মূলক পদ্ধতি।
II. বৃত্তীয় পদ্ধতি
III. শত মুলক পদ্ধতি।
ষাট মূলক পদ্ধতিঃ ষাট মূলক পদ্ধতিতে সমকোনকে কোণ পরিমাপের একক ধরা হয়।
১ সমকোণ= ৯০ ডিগ্রি
১ ডিগ্রি = ৬০ মিনিট
১ মিনিট = ৬০ সেকেন্ড
বৃত্তীয় পদ্ধতিঃ বৃত্তীয় পদ্ধতিতে রেডিয়ান কোনকের কোন পরিমাপের একক ধরা হয়।
শতমুলক পদ্ধতিঃ শতমুলক পদ্ধতিতে রেডিয়ান কোনকে কোন পরিমাপের একক ধরা হয়।
** কোণ দুই প্রকারঃ-
১। জ্যামিতিক কোন
২। ত্রিকোনমিতিক কোন
জ্যামিতিক কোনঃ
সূক্ষ কোণঃ ০ ডিগ্রি থেকে বড় এবং ৯০ ডিগ্রি থেকে ছোট কোনকে সূক্ষ কোণ বলে।
চিত্রে ABC একটি সূক্ষকোণী ত্রিভুজ।
সমকোণঃ ৯০ ডিগ্রি পরিমান কোনকে সমকোণ বলে। অথবা, একটি রেখাংশের উপর অপর একটি রেখাংশ লম্ব ভাবে পতিত হলে তাকে সমকোণ বলে।
স্থুলকোণঃ ৯০ ডিগ্রি অপেক্ষা বড় এবং ১৮০ ডিগ্রি অপেক্ষা ছোট কোনকে স্থুলকোণ বলে।
সরলকোনঃ ১৮০ ডিগ্রি পরিমান কোনকে সরলকোন বলে।
প্রবৃদ্ধ কোনঃ ১৮০ ডিগ্রি থেকে বড় এবং ৩৬০ ডিগ্রি থেকে ছোট কোনকে প্রবৃদ্ধ কোন বলে।
ধনাত্বক কোনঃ ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে যে কোন উৎপন্ন হয় তাকে ধনাত্বক কোন বলে।
ঋনাত্বক কোনঃ ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে যে কোন উৎপন্ন হয় তাকে ঋনাত্বক কোন বলে।
No comments